অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জনগণের সমর্থন নিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌম রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনী কক্সবাজার অঞ্চলের অসহায়, দুঃস্থ ও গরীব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের শীতকালীন প্রশিক্ষণ পরিদর্শন ও উখিয়া ইনানী এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ ও সেনাবাহিনী পরিচালিত চিকিৎসা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের এ কথা বলেন তিনি।
সেনাপ্রধান বলেন, “সর্বাত্মক চেষ্টা করি আমাদের প্রশিক্ষণে জনগণের কোনো অসুবিধা না হয়। সেই সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনায় আমরা সবসময় জনকল্যাণমূলক কাজ করার চেষ্টা করে আসছি। গভীরভাবে বিশ্বাস করি, জনসমর্থন ছাড়া কোনো সেনাবাহিনী যুদ্ধ জয় করতে পারেনি।”
তিনি আরও বলেন, “তারই ধারাবাহিকতায় এখানে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ এবং যারা অসুস্থ তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুঃস্থ যারা তাদেরকে কিছু ওষুধও দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সারাদেশে যেখানে আর্মি এফসি কোর আছে এখানে আমরা গোবাদি পশুর চিকিৎসা ও ওষুধ সামগ্রী বিতরণ করছি।”
যতদিন শীতকালীন প্রশিক্ষণ চলবে ততোদিন বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে রিমোর্ট অঞ্চলে কম্বল বিতরণ, চিকিৎসা প্রদান, অন্যান্য জনহিতকর কাজ জারি থাকবে বলে জানান সেনাপ্রধান।
এসময় জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার এরিয়া মেজর জেনারেল মোঃ ফখরুল আহসান, সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান উপস্থিত ছিলেন।
উখিয়া উপজেলার ইনানীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের ব্যবস্থাপনায় সহস্রাধিক অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন সেনাপ্রধান। পরে তিনি সেনাবাহিনী পরিচালিত চিকিৎসা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
শীতবস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শীতকালীন প্রশিক্ষণ এলাকায় অসহায়, দুঃস্থ ও গরীব-দুঃখী মানুষের মাঝে চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্পেইন কর্মসূচি পরিচালনা করে।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসা, গর্ভবতী-প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসা সেবা ও বিশেষ পরামর্শ প্রদান এবং অভিজ্ঞ চক্ষু বিশেষজ্ঞ দ্বারা চোখের ছানি, চালসে ও দীর্ঘ দৃষ্টি ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান ও বিনামূল্যে ঔষধপত্র বিতরণ করা হয়।
দিনব্যাপী এই মেডিকেল ক্যাম্পেইনে দুই হাজারেরও বেশি রোগীকে চিকিৎসা ও ঔষধপত্র দেওয়া হয়।
Leave a Reply